ফরিদপুরে কোভিড ভ্যাক্সিনেশনে অবদান রাখায় সম্মাননা প্রদান। চীনে সর্বপ্রথম কোভিড-১৯ ভাইরাস ধরা পরার পর সারা পৃথিবীতে আতঙ্ক বিরাজ করতে শুরু করে এবং তা খুব দ্রুতই মহামারির আকার ধারণ করে ধীরে ধীরে পৃথিবীর অনেক দেশকেই স্থবির করে দেয়। কোভিড সংক্রমণ রোধ করতে বিভিন্ন দেশ লকডাউনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করতে থাকে।
চীনে উৎপত্তি হওয়ার পর বাংলাদেশে সর্বপ্রথম কোভিড আক্রান্তের কথা জানা যায় ৮ই মার্চ ২০২০ সালে এবং এর ঠিক ১০ দিন পর অর্থ্যাৎ ১৮ই মার্চ দেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে দ্রুত এর সংক্রামক বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং বাংলাদেশের প্রত্যেক জেলায় কোভিড হানা দেয়। দেশজুরে ‘লকডাউনের’ মাধ্যমে কোভিড নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করা হয়।
আরোও পড়ুনঃ মোবাইলের জন্য বিপজ্জনক ৩৫টি অ্যাপ।
এরপর ২০২১ সালে বাংলাদেশে ভ্যাক্সিনেশনের কার্যক্রম চালু হয়। ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে প্রথম করোনার ভ্যাক্সিন দিয়ে শুরু করে বাংলাদেশ কোভিড টিকা কার্যক্রম। একই সালের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে গণটিকা কার্যক্রম শুরু করে সরকার। এরপর সারাদেশব্যাপী ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রম শুরু হতে থাকে।
২৭ জানুয়ারি দেশে প্রথম টিকা কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর ফরিদপুরে ২৯ জানুয়ারি ভ্যাক্সিন এসে পৌঁছায়। এরপর থেকে টিকা কার্যক্রম এখন পর্যন্ত চলমান। ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ২ টি কেন্দ্র করে টিকা কার্যক্রম শুরু করে সিভিল সার্জন প্রশাসন। জেনারেল হাসপাতালে টিকা কার্যক্রম শুরুর থেকে এখন পর্যন্ত এই কাজে সাহায্য করে আসছে ‘বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি’ ফরিদপুরের স্বেচ্ছাসেবীরা। এছাড়াও হাসপাতালের নার্সরাও এই কাজে সাহয্য করে আসছে।
এবার সিভিল সার্জন ফরিদপুর কর্তৃক এসকল স্বেচ্ছাসেবী ও নার্সদের ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রমে অবদান রাখায় সম্মাননা সার্টিফিকেট প্রদান কর হয়। আজ সকালে ফরিদপুর সদর হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ ছিদ্দীকুর রহমান, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ শাহ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা, মেডিকেল অফিসার ডাঃ তানসিভ জুবায়ের নাদিম, মেডিকেল অফিসার ডাঃ আল-আমিন সরোয়ার, ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী নার্স ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ফরিদপুরের সদস্যরা।
আরোও পড়ুনঃ চালু হচ্ছে ফরিদপুর টু চট্টগ্রাম বি আর টি সি বাস সার্ভিস
এসময় সিভিল সার্জন ডাঃ ছিদ্দীকুর রহমান বলেন- কোভিড-১৯ আতংকের মধ্যে যারা এই টিকা কার্যক্রমে সবসময় সাহায্য করেছেন এবং নিজের জীবনের ঝুকি নিয়ে অনেকেই এই কাজ করতে গিয়ে কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন তাদের এই ঋণ কখনো শোধ হবার নয়। ফরিদপুরবাসী তথা সিভিল সার্জন সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে।