উই কেয়ার WeCare Humanities সেচ্ছাসেবী সংগঠন এর পক্ষথেকে নতুন ঘর পেলেন ভাজনডাঙ্গা ২৫ নং ওয়ার্ডের বিহারী কলনীর সিদ্দিক ফকির ও তার পরিবার। সেই সাথে তাদের এক মেয়ের পড়াশোনার দায়িত্ব নিলেন।
ফরিদপুর প্রতিনিধি : ভাঙাচোরা জরাজীর্ণ ঘরটিতেই অনেক বছর ধরে মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে বাস করতেন অসুস্থ সিদ্দিক ফকির। অসুস্থ সিদ্দিক ফকিরের বয়স এখন ৭০ ছুঁই ছুঁই। প্রায় অনেক বছর যাবদ অসুস্থতার কারনে সিদ্দিক ফকির হাটা চলা করতে পারেন না। একমাত্র মেয়ে সন্তান নবম শ্রেণিতে পড়ালেখা করছেন । অসুস্থ সিদ্দিক ফকিরের বাড়ি ফরিদপুর জেলার ফরিদপুর সদর উপজেলার ভাজনডাঙ্গা ২৫ নং ওয়ার্ডের বিহারী কলনীতে। অসুস্থ সিদ্দিক ফকির শারীরিক ভাবে অসুস্থতার কারণে আর্থিক ভাবে অসচ্ছলতা হওয়ায় ভাজনডাঙ্গা গ্রামে একটি ঝুপড়ি ঘরে থাকতেন । ঝড় বৃষ্টি মাথায় নিয়ে অনেক কষ্টেই বাস করতেন পরিবার নিয়ে ঘরটিতে। ঘর নিয়ে অসুস্থ সিদ্দিক ফকিরের এমন কষ্টের কথা জানতে পারেন স্থানীয় সেচ্ছাসেবক মাহাবুর হাসান তুষার তিনি, WeCare Humanities নামের একটি সামাজিক সংগঠনের সদস্যদের অবগত করেন । সংগঠনটি বিস্তারিত খোঁজ খবর নিয়ে বাড়ির একপাশে একটি দো-চালা টিনের ঘর নির্মাণ করে দেন। ঘরটিতে মোট খরচ হয় ৬২ হাজার টাকা। আজ ২২ জানুয়ারী ২০২১ শুক্রবার বিকেলে কোনো রকমের আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই ঘরের চাবি তুলে দেন সিদ্দিক ফকিরের হাতে। এসময় উপস্থিত ছিলেন WeCare Humanities সংগঠনের সদস্য সঞ্জয় সাহা সমন্বয়কারী । আমরা করবো জয় সংগঠনের সভাপতি আহমেদ সৌরভ, সাধারণ সম্পাদক শরিফ খান, এবং মহুয়া ইসলাম,। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এ্যাডভোকেট মেহেরুন নেসা স্বপ্না, টিম ফরিদপুর সিটির মডারেটরবৃন্দ। নতুন ঘর পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়েন সিদ্দিক ফকির। তিনি বলেন, ‘একটি ঝুপড়ি ঘরে সাপ, পোকা-মাকড়ের ভয়ে অনেক কষ্টে দিন কাটাইতাম। এখন নতুন ঘর পেয়ে অনেক আনন্দ লাগছে।’
শুধু সিদ্দিক ফকিরই নয় তার মত অসংখ্য দুঃস্থ অসহায়কে নতুন ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন উক্ত WeCare Humanities সংগঠনটি।সার্বিক সহযোগিতায় প্রথম থেকেই পাশে ছিলেন উই কেয়ার এর সভাপতি রোকেয়া পারভীন (কানাডা প্রবাসী) তিনি জম্মসূত্রে ফরিদপুরের সন্তান হলেও সূদুর কানাডায় থেকেও প্রতিনিয়ত এই শহরের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা দুস্থ মানুষ এর শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান এর চিন্তা করেন ও সমাধান করার চেস্টা করে যাচ্ছেন সব সময়।উল্লেখ্য অসুস্থ সিদ্দিক ফকিরের নবম শ্রেণিতে পড়া মেয়ের পড়ার যাবতীয় খরচ WeCare Humanities সংগঠনটি বহন করবে।