মানবদেহে যে স্থানে ফ্যাট জমে ও অতিরিক্ত ফ্যাট থেকে মুক্তির উপায়!

খাওয়ার আগে ১০০ বার ভাববেন কতটুকু খাচ্ছেন আর খাওয়ার কতখন পর ঘুমাতে যাচ্ছেন।

রাতে ভরপেট খাওয়ার পরে আলস্য এসে শরীরে ভর করে। আর এ কারণে খাওয়ার পরেই যাঁরা ভাতঘুমে যান, তাঁদের পেটে চর্বি জমার প্রবণতা থাকে সব থেকে বেশি।দীর্ঘক্ষণ বসে যারা কাজ করেন, তাঁদের পেটেও অল্প অল্প করে চর্বি জমে যায়। শরীরে বেশি চর্বি শুধু সৌন্দর্যকেই নষ্ট করে দেয় না ; নানান ধরণের রোগও শরীরে ডেকে আনে।

‘পেটে অতিরিক্ত চর্বি জমে যাওয়ার আগেই সেটা নিজের নিয়ন্ত্রণে আনা উচিত। শরীরে যদি আগে থেকেই চর্বি যদি জমে যায়,তাহলে নিয়ন্ত্রিত খাদ্য আর শারিরিক ব্যায়ামে সেটিকে অবশ্যই কমিয়ে আনতে হবে। কোন কারণে চর্বি জমছে, এই কারণটিকে চিহ্নিত করে সেই খাদ্যটি খাবার তালিকা থেকে পরিবর্তন করতে হবে।’

#পেটে চর্বির জন্য রোগঃ

* পেটে অতিরিক্ত চর্বি জমলে কখনো মৃত্যুর কারণও হয়ে দাঁড়ায়। অতিরিক্ত চর্বির ফলে কাজ করে অনিচ্ছা জন্মে। এতো করে চর্বি জমার পরিমাণটাও বাড়তে থাকে।
* পেটে বেশি চর্বি জমলে ফ্যাটি লিভারের আশঙ্কা বাড়েতে থাকে সঙ্গে লিভারের বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়, অর্থাৎ লিভারের চারদিকে চর্বি জমে যায়,
* ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে রোগীর, হতে পারে হার্নিয়া।
* নারীদের হরমোনজনিত জটিলতাসহ নানা ধরনের রোগ শরীরে দেখা দিতে পারে।’

#পেটে চর্বি জমার কারণঃ

* শর্করাযুক্ত খাবার যারা বেশি খান, তাঁদের পেটে দ্রুত চর্বি জমে। ভাত, পোলাও, বিরিয়ানি, পরোটা, লুচি, মিষ্টি, কোমল পানীয় খাওয়ায় বিধিনিষেধ মানতে হবে।
* অনেকেই খাওয়ার পরে দ্রুতই ঘুমিয়ে যায়, তাঁদের খাবার ঠিকমত পরিপাক হয় না । সঞ্চিত শক্তি খরচও হয় না। চর্বি জমার এটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ।
* যারা অফিসে সারা দিনের কাজ যারা চেয়ার-টেবিলে করেন এবং শারীরিক পরিশ্রম করতে হয় না , তাঁদের পেটেও খুব দ্রুত চর্বি জমে।
* মাখন, কোল্ডড্রিংস, ঘি জাতিয় চর্বিযুক্ত খাবারে যারা অভ্যস্ত তাদের চর্বি জমে
* যারা ফাস্টফুডের ভক্ত, তাঁদের পেটেও চর্বি জমে সহজেই।

#চর্বি কমাতে করণীয়ঃ

* একসঙ্গে বেশি খাবার না খেয়ে বেশিবার অল্প অল্প করে খাবেন।
* চেষ্টা করবেন দু তিন ঘণ্টা পর পর সামান্য কিছু হলেও মুখে দেয়ার।
* শর্করাজাতীয় খাবারে যদি পেট না ভরে, সবুজ শাকসবজিতে ভরাতে চেষ্টা করবেন। সঙ্গে খেতে পারেন যেকোনো টক জাতীয় ফল।
* খোসাসহ ফল অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার চেষ্টা করুন। যেমনঃ পেয়ার, বরই, আমড়া, শসা—এই ফলগুলো দ্বারা তৃষ্ণা মেটাতে পারেন।
* মাংস চেষ্টা করবেন না খাওয়া যদি একান্তই মাংস খেতে ইচ্ছে করে তাহলে চর্বি অংশ বাদ দিয়ে খেতে হবে। ঝোল কিংবা আলু একদমই বাদ রাখুন খাওয়ার দরকার নেই।

* যেকোনো ধরনের তেলে ভাজা, যেমনঃ পুরি, সিঙ্গারা,ছমছা,ফুসকা এই ধরণের সহ আরও তেলেভাজা ফাস্টফুডজাতীয় খাবার একদমই বর্জন করতে হবে।
* পানি খেতে হবে প্রচুর পরিমাণে। পানি শরীরের মেটাবলিজমক্ষমতা বাড়িয়ে দিয়ে চর্বি জমতে বাধা দেয় এবং নতুন চর্বি তৈরিতে রক্ষা করে।
* পেটের চর্বি কমাতে দৈনন্দিন খাবার নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি করতে হবে শারিরিক ব্যায়ামও।

‘নিয়মিত খাদ্য খাওয়া যেমন মেনে চলতে হবে সেই সঙ্গে জিমে অথবা বাসায় প্রয়োজনীয় ব্যায়াম করলে ফলাফলটা খুব তাড়াতাড়ি পাওয়া যাবে। জিমে যাওয়া ছাড়াও বাসায় সাঁতার, সাইকেল চালানো, জোরে হাঁটা, দড়িলাফ
*- এগুলো পেটের চর্বি কমানোর জন্য খুব ভালো ব্যায়াম ।
* তাছাড়া লিফট ব্যবহার না করে হেঁটে ওঠা/নামা, কিংবা ফ্লাইওভারের নিচ থেকে জোরে হেঁটে ওপরের দিকে ওঠার অভ্যাস গড়লেও চর্বি কমবে দ্রুত।’

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top