দেশের সর্ববৃহৎ নগরী দুটি হলো ঢাকা ও চট্টগ্রাম।
প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই দুই নগরীতে যাতায়ত করে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাতায়তের অন্যতম গুরত্বপূর্ণ ও সহজ মাধ্যম হলো ট্রেন। ট্রেনে এই রুটের দূরত্ব ৩৪৬ কি.মি.।
বাংলাদেশ রেলওয়ে যাত্রীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে এই রুটে ৮ রেল চালু করেছে। এই ৮ টি ট্রেন আবার দুই ভাগে চলে। আন্তঃনগর ও মেইল ট্রেন নামে দু ভাগে ভাগ হয়ে চলাচল করে।
১. সুবর্ণ এক্সপ্রেস
২. সোনার বাংলা এক্সপ্রেস
৩. মহানগর প্রভাতী
৪. মহানগর এক্সপ্রেস
৫. তৃণা এক্সপ্রেস
(উপরের ৫ টি আন্তঃনগর ট্রেন)
এছাড়াও মেইল ট্রেন নামে বাকি তিনটি হলো-
১. চট্টগ্রাম মেইল
২. কর্ণফূলী এক্সপ্রেস
৩. চট্টলা এক্সপ্রেস
এদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দুটি ট্রেন হলো- সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ও সুবর্ণ এক্সপ্রেস। বাংলাদেশের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩ টি ট্রেন বিরতিহীনভাবে যাতায়ত করে তাদের মধ্যে এই ট্রেন দুটি অন্যতম। বিরতিহীন হওয়ায় অনেকটাই জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছে এই ট্রেন দুটি।
তো চলুন দেরি না করে জেনে নেয়া যাক ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়া-
১. সুবর্ণ এক্সপ্রেসঃ
(ট্রেন নং ৭০২) ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে বিমানবন্দর হয়ে বিকেল ০৪.৩০ এ চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গিয়ে পৌঁছায় সকাল ০৯.৫০। দেশের বিরতিহীন ট্রেনগুলোর মধ্যে এটি একটি হওয়ায় ঢাকা বিমানবন্দর ছাড়া এটি আর কোথাও থামেনা।
সোমবার এই ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটি।
ভাড়াঃ শোভনের জন্য ৩৫৫ টাকা এবং স্নীগ্ধা- ৬৭৩ টাকা
২. সোনার বাংলা এক্সপ্রেসঃ
(ট্রেন নং- ৭৮৮) ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে সকাল ৭.০০ টায় ছেড়ে যায় এবং গন্তব্যে পৌঁছায় দুপুর ১২.১৫ মিনিটে। এই ট্রেনটিও ঢাকা বিমানবন্দরে ২-৫ মিনিটের জন্য থামে।
সোনার বাংলা এক্সপ্রেস বুধবারে সাপ্তাহিক ছুটি পালন করে।
ভাড়াঃ শোভনের জন্য ৬০০ টাকা, স্নীগ্ধা- ১০০০ টাকা এবং এসি সার্ভিসের জন্য ১১০০ টাকা
৩. মহানগর প্রভাতীঃ
(ট্রেন নং ৭০৪) বাংলাদেশ রেলওয়ের দূরপাল্লার আন্তঃনগর ট্রেনগুলির মধ্যে মহানগর প্রভাতী এক্সপ্রেস অন্যতম। ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে সকাল ৭.৪৫ মিনিটে ছেড়ে যায় এবং গন্তব্যে পৌঁছায় দুপুর ০২.৫০ মিনিটে।
মহানগর প্রভাতী ট্রেনটি ৮ টি স্থানে যাত্রাবিরতি করে এবং এই ট্রেনের কোনো সাপ্তাহিক ছুটি নেই অর্থ্যাৎ সপ্তাহের ৭ দিন’ই চলাচল করে।
ভাড়াঃ শোভন চেয়ারে (১ম শ্রেণি ১৫০ ও ২য় শ্রেণি ১২৫ টাকা) স্নীগ্ধার জন্য (১ম শ্রেণি ৪৫৫ ও ২য় শ্রেণি ৩৪৫ টাকা) এবং এসি সার্ভিসের জন্য ৭৫৬ টাকা
৪. মহানগর এক্সপ্রেসঃ
(ট্রেন নং ৭২২) ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রাত ০৯.২০ মিনিটে ছেড়ে যায় এবং গন্তব্যে পৌঁছায় ভোর ০৪.৫০ মিনিটে।
মহানগর এক্সপ্রেস যাত্রাপথে ১২ টি স্থানে বিরতি দেয়। এবং রবিবার সাপ্তাহিক ছুটিতে থাকে।
ভাড়াঃ শোভনের জন্য ৩২০ টাকা, স্নীগ্ধা- ৬১০ টাকা এবং এসি সার্ভিসের জন্য ৭৩১ টাকা।
৫. তৃণা এক্সপ্রেসঃ
(ট্রেন নং ৭৪২) ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রাত ১১.৩০ মিনিটে ছেড়ে যায় এবং গন্তব্যে পৌঁছায় ভোর ০৬.২০ মিনিটে।
মহানগর এক্সপ্রেস যাত্রাপথে ৭ টি স্থানে বিরতি দেয় এবং এর কোনো সাপ্তাহিক ছুটি নেই।
ভাড়াঃ শোভন চেয়ারে জন্য এর ভাড়া ৩২০ টাকা।
এছাড়াও আরও তিনটি মেইল ট্রেন আছে যারা ঢাকা টু চট্টগ্রাম যাতায়ত করে। চলুন দেখে নেয়া যাক-
১. চট্টগ্রাম মেইলঃ
ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রাত ১০.৩০ মিনিটে ছেড়ে যায় এবং গন্তব্যে পৌঁছায় সকাল ০৭.২৫ মিনিটে।
এর কোনো সাপ্তাহিক ছুটি নেই।
Read more চিত্রা ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা থেকে যশোর সময়সূচী, টিকিটের মূল্য, বন্ধের দিন !
২. কর্ণফূলী এক্সপ্রেসঃ
ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে সকাল ০৮.৪৫ মিনিটে ছেড়ে যায় এবং গন্তব্যে পৌঁছায় সন্ধ্যা ০৬.১৫ মিনিটে।
এর কোনো সাপ্তাহিক ছুটি নেই।
৩. চট্টলা এক্সপ্রেসঃ
ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে দুপুর ০১.০০ মিনিটে ছেড়ে যায় এবং গন্তব্যে পৌঁছায় রাত ১০.৩০ মিনিটে।
মঙ্গলবার এই ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটি।
এই ছিলো বাংলাদেশ রেলওয়ের সর্বশেষ হালনাগাদকৃত ঢাকা টু চট্টগ্রাম রুটের ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়ার তালিকা। আপনার যাত্রা শুভ হোক।
Thanks for thr great article!