ফরিদপুরে বিশ্বকাপের পতাকা ও জার্সির টাকায় ১০০ পথশিশুকে শীতবস্ত্র উপহার।
চারিদিকে চলছে ফুটবল বিশ্বকাপের উন্মাদনা। সেই আয়োজনকে কেন্দ্র করে বিশ্বব্যাপী সবাই নিজের পছন্দের দলের সমর্থনের কত কিছুই না করছে। বাংলাদেশেও বিভিন্ন পেশার মানুষের মধ্যে এই উম্মাদনা ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কথা বলতে গেলে নিজ সমর্থিত দলের পতাকা আর জার্সি কিনছেন, মাতছেন বিশ্বকাপের আমোদে। কিন্তু ফরিদপুরে খোঁজ পাওয়া গেল এক যুবক ও তার বন্ধুদের ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ।
আরও পড়ুনঃমেসির হাতে যখন ‘বাংলাদেশের পতাকা’
ফরিদপুরের ছেলে ও ছাত্রনেতা খায়রুল ইসলাম রোমান ও তার বন্ধুরা বিশ্বকাপ উপলক্ষে পতাকা ও জার্সি কেনার অর্থ দিয়ে ফরিদপুর শহরের মধ্যে ১০০ জন পথশিশুকে নতুন শীতবস্ত্র উপহার দিয়েছে। হতদরিদ্র পথশিশুদের শহরের মার্কেটে নিয়ে গিয়ে তাদের পছন্দ মতো শীত বস্ত্র কিনে দিয়েছেন তারা। পথশিশুরা যে যার পছন্দমতো পোশাক নিয়েছে।
খায়রুল ইসলাম ইতিমধ্যে ফরিদপুর শহরে নানা সামাজিক ও জনহিতকর কাজের মাধ্যমে অনেকের কাছে এক পরিচিত মুখ। এর মধ্যে তার নিজের পরিচালিত একটি ব্লাড ব্যাংকের মাধ্যমে নিয়মিত অসহায় রোগীদের ব্লাডের ব্যবস্থা করে থাকেন।
খায়রুল জানান, বিশ্বকাপ শুরুর আগেই শহরের প্রায় প্রতিটি বাড়ির ছাদে বিভিন্ন দেশের পতাকা আর সবার গায়েই সমর্থিত দলের জার্সি দেখা যাচ্ছিল। জার্সি কিনতে গিয়ে দেখলাম জার্সির দাম অনেক বেশি। এত টাকা দিয়ে জার্সি কিনে বা পতাকা টাঙিয়ে আসলে আমাদের লাভটা হচ্ছে কী? এসব ভেবে আমি জার্সি না কিনে সেই টাকাটা রেখে দেই।
পরে লক্ষ্য করলাম, আমাদের শহরের অন্যান্য শিশুরা শীতের কাপড় পরিধান করে সকাল ও সন্ধ্যায় বের হলেও পথশিশুরা শীতের পোশাক দূরে থাক কেউ খালি গায়ে তো কেউ জীর্ণশীর্ণ পোশাকে রাস্তা বা মাঠে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তখনই আমার মধ্যে এদেরকে কিছু দেয়ার চিন্তা মাথায় আসে এবং সিদ্ধান্ত নিলাম সবাইকে তো দেয়া সম্ভব না, কয়েকজন পথশিশুকে শীতের পোশাক কিনে দিবো। আমার বন্ধুদের সাথে বিষয়টি শেয়ার করার পর ওরাও অর্থ ও পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করলো।
আরও পড়ুনঃ ১৬ টাকার ওষুধ ৫২০ টাকায় বিক্রি, ফার্মেসি সিলগালা
এরপর ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম, সেটা দেখে কয়েকজন শুভাকাঙ্ক্ষীও অর্থ পাঠিয়েছেন। সব অর্থ মিলিয়ে আমরা শহরের ১০০ জন পথশিশুকে মার্কেটে নিয়ে গিয়ে তাদের শীত বস্ত্র কিনে দিয়েছি।
Pingback: হাজী সেলিম জামিন পেয়েছেন