সাম্প্রতি ফরিদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র মুজিব সড়কসহ কয়েকটি সংযোগ সড়ক সাধারণ জনগণের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে ফরিদপুরের সাধারণ জনগন। এজন্য ফরিদপুরের মেয়রসহ কয়েকটি ওয়ার্ডের কমিশনারকে দায়ী করেছেন ও চরমভাবে ক্ষুব্ধ হয়েছেন ওই ওয়ার্ডের জনগণসহ ফরিদপুর পৌরবাসী।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ফরিদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র মুজিব সড়কটি জনতা ব্যাংকের মোড় থেকে সুপার মার্কেট পর্যন্ত ওয়ানওয়ে করে দেয়া হয় অর্থাৎ জনতা ব্যাংকের মোড় থেকে স্বর্ণকারপট্টি হয়ে সুপার মার্কেট পর্যন্ত আসা যায় না। এ কারণে ফরিদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে আসা সাধারণ যানবাহন, পূর্ব খাবাসপুর, ঝিলটুলী, চরকমলাপুরের প্রায় ১৫-২০টি ব্যাংকে সহজে যেতে পারছেন না এবং ঝিলটুলী, পূর্ব খাবাসপুর ও চরকমলাপুর থেকে সুপার মার্কেটের সামনে থেকে আলীপুরসহ কয়েকটি এলাকায় সহজে যাতায়াত করতে পারছেন না জনসাধারণ। বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে বেশি সময় অতিবাহিত করে যেতে হয়। অপরদিকে রাজেন্দ্র মেডিকেল সংযোগ সড়ক এবং আলীপুরের উদয়ন ক্লাবের সংযোগ সড়কটিও ব্যবহার করতে পারছেন না। বিধায় চরম বিড়ম্বনায় পড়েছেন শহরবাসী।
এই বিষয়ে ফরিদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মনিরুল ইসলাম মনির জানান, বিভিন্ন রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার কারণে চলাচলে সবচেয়ে বেশি বিড়ম্বনায় পড়েছেন আমার ওয়ার্ডের সাধারণ জনগণ। প্রতিনিয়ত আমাকে ওয়ার্ডবাসীর প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, বিভিন্ন সড়ক পৌর কর্তৃপক্ষ বন্ধ করেনি, বন্ধ করেছে পুলিশ প্রশাসন । আমরা এ বিষয়ে পুলিশ সুপারের সাথে খুব দ্রুত জনগণের দুর্ভোগ নিয়ে আলোচনায় বসব এবং আশা করি দুর্ভোগের সমাধান হবে।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম চৌধুরী জানান, রাস্তায় চলাচলের সময় আমি নিজেও বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছি। আমারও অনেকটা রাস্তা ঘুরে বাজারে আসতে হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানান, অদৃশ্য ক্ষমতাবলে জনতা ব্যাংকের মোড় থেকে সুপার মার্কেট পর্যন্ত মুজিব সড়কটিতে ওয়ানওয়ে করা হয়েছে কয়েকজন ক্লিনিক ব্যবসায়ীর স্বার্থে। তারা আরো জানান, ওই ক্লিনিক ব্যবসায়ী কয়েকজন সাংবাদিক নেতাকে ব্যবহার করে এবং তাদের সমন্বয়ে একটি সংগঠনকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ওই সব ক্লিনিক ব্যবসায়ী তাদের ক্লিনিকে বিভিন্ন ধরনের রোগীসহ অ্যাম্বুলেন্স আসার জন্য রাস্তাটি ওয়ানওয়ে করেছেন।
©2020 SomoyerKhbor All rights reserved ®
Leave a Reply